পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে যাচ্ছে গুগল
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তিময় সেই জীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বে এখন রীতিমতো মাতামাতি চলছে। প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত অ্যাপ্লিকেশন, সফ্টওয়্যার বা প্লাগইন্স, সার্চইঞ্জিন বা অ্যালগরিদম সবখানেই নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে এআই। তবে এর ওপর ভিত্তি করে চলা প্রযুক্তি বা ডাটা সেন্টার চলমান রাখতে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি। তাই এআই নির্ভর প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শক্তির চাহিদা মেটাতে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে গুগল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গুগলের অনেক প্রযুক্তি বর্তমানে এআই নির্ভর। এসব প্রযুক্তির সঞ্চালন বা ডানা সেন্টারের জন্য যে পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি দরকার হয় এটির জন্য গুগল বিশ্বে প্রথমবারের মত করপোরেট পারমাণবিক চুক্তি সই করেছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কাইরোস পাওয়ার’ নামক স্টার্টআপের সঙ্গে এ চুক্তি সই করেছে গুগল। যার মাধ্যমে ছোট পারমাণবিক চুল্লির সাহায্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পদ্ধতিগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
গুগলের বলছে, চুক্তির আওতায় কাইরোস পাওয়ার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি ছোট (মডুলার রিঅ্যাক্টর) বা পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করবে। এর মাধ্যমেই গুগলের ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ চাহিদা মিটবে। প্রথম চুল্লিটি ২০৩০ সালের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং বাকি চুল্লিগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থাপন করা হবে।
গুগলের জ্বালানি এবং জলবায়ু বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর মাইকেল টেরেল বলেন, পারমাণবিক আমাদের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া পারমাণবিক শক্তি ২৪ ঘণ্টার বিশুদ্ধ শক্তির উৎস।
কাইরোস পাওয়ার ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর লক্ষ্য হলো পারমাণবিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করা। তবে গুগলের জন্য নতুন প্ল্যান্টগুলোর অবস্থান এবং এটি তৈরিতে কি পরিমাণ খরচ হতে পরে তা জানানো হয়নি।